শ্রী-শোভা এবং আমরা ক'জন
“ভ্রমণ প্রথমে তোমাকে নির্বাক করে দেবে তারপর তোমাকে গল্প বলতে বাধ্য করবে।”
জ্বী সেই নির্বাক হওয়ার উদ্দ্যেশেই আমরা পাঁচ জন বন্ধু গিয়েছিলাম বাংলার “Chá zhī dū” বা চায়ের রাজধানী খ্যত শ্রীমঙ্গলে। বর্তমান এই বিজ্ঞানের যুগে সোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যানে কোন জায়গায় না গিয়ে সে সকল জায়গার বা স্থানের অপরূপ বা মনোরম (যাই বলুন না কেন) দৃশ্য গুলো কিঞ্চিৎ অবলোকন করতে পারা যায়। তবে সেটা তো আর বাস্তব নয়। তাই এই বাস্তব দৃশ্যগুলোকে সরাসরি উপভোগ করার জন্যই আমাদের যাওয়া। তবে এতা বলতে হবে যে, ইবনে বতুতার কথায় আমার যতটা নির্বাক হওয়ার কথা ছিল ততটা ঠিক হই নি তবে গল্প বলতে আমাকে অবশ্যই বাধ্য করেছে।
সেই ছোটবেলা থেকে এখন পর্যন্ত সবার মুখে শুনে আসছি শীতকাল নাকি ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত সময়। তো লোক্মুখের সেই কথা ধরেই আমরা চার জন বন্ধু ঠিক করি ২০২০ সালের এই শীতে ব্যস্ত ঢাকা ছেড়ে কিছুদিনের জন্য এই শীতটাকে যথাযথভাবে উপভোগ করে আসি। কিন্তু ইট কাঠে মোড়া ঢাকার এই ব্যস্ত জীবনে সময় বের করা তো আর মুখের কথা নয়। তাই ২০২০ সালের ডিসেম্বরের ট্রিপের পরিকল্পনা টি গিয়ে ঠেকল ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে।
যাক! শেষ পর্যন্ত আমরা আমদের ভ্রমণের তারিখ নির্দিষ্ট করতে পেরেছি যদিও ততদিনে শীতের বিদায় হয়ে ঋতুরাজ বসন্তের আগমন ঘটেছে। পরবর্তিতে আমাদের সাথে আরেক জন যোগ হয় অর্থাৎ পাঁচ জন মিলে শ্রীমঙ্গল ভ্রমণের পরিকল্পনা করি।
আমাদের ভ্রমণ শুরু হয় ২৬ তারিখ কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে রাত ৯.০০টায় সুরমা মেইল ট্রেনে যাত্রার মাধ্যমে। যেহেতু আমরা লোকাল ট্রেনে উঠেছিলাম তাই পুরো রাতটা আমাদের ট্রেনেই কেটেছিল এবং আমরা সকাল ৬.৩০ টার মধ্যে শ্রীমঙ্গল রেল স্টেশনে পৌঁছাই।
![]() |
| শ্রীমঙ্গল রেল স্টেশনে ট্রেন থেকে নামার পর |
শ্রীমঙ্গল ভ্রমণের বিবরণের আগে এই স্থানটি সম্পর্কে কিছু জেনে নিই। শ্রীমঙ্গল বাংলাদেশের সিলেট বিভাগে অন্তর্গত মৌলভীবাজার জেলার উত্তর-পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত একটি উপজেলা। এই স্থানটি বাংলাদেশের চায়ের রাজধানী বলে খ্যাত। বাংলাদেশের মোট ১৬৭ টি চা বাগানের মধ্যে ৯২ টি আছে মৌলভীবাজার জেলায়। এই ৯২ টির মধ্যে ৪০ টি হল শ্রীমঙ্গল উপজেলায়। শুধু যে শ্রীমঙ্গল চায়ের জন্য বিখ্যাত তা নয়, বাংলাদেশের সর্বাধিক বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিল এই শ্রীমঙ্গল এ। এছাড়া, ১৯৬৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারী শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা ২০১৮ সালের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল।
আবার ভ্রমণে ফিরি। স্টেশন থেকে বের হয়ে আমরা সি,এন,জি ভাড়া করি পুরো দিনের জন্য। এখানে আপনারা ১০০০ - ১২০০ টাকার মধ্যে সি,এন,জি রিজার্ভ ভাড়া করতে পারবেন। ভাড়া করার আগে অবশ্যই দর দাম করে নিবেন। আমরা ১১০০ টাকায় সি,এন,জি ভাড়া করি পুরো দিনের জন্য এবং সি,এন,জি চালকের সাথে কথা হয় পুরো দিনে ৪ টি স্পটে ঘুরাতে হবে।
আমরা সকালের নাস্তা করি বিখ্যাত পানসী রেস্টুরেন্টে। নাস্তা শেষ করে আমরা রওনা দেই আমদের প্রথম গন্তব্য বাইক্কা বিলের উদ্দেশে। পানসী রেস্তোরা থেকে বাইক্কা বিল পৌঁছাতে আমাদের প্রায় ৪০ মিনিট সময় লেগেছিল।
বাইক্কা বিল শ্রীমঙ্গলের হাইল হাওড়ের পূর্বদিকের প্রায় ১০০ হেক্টর আয়তনের একটি জলাভূমি। ১ জুলাই ২০০৩ তারিখে বাংলাদেশের ভূমি মন্ত্রণালয় এই বিলটিকে মৎস্য সম্পদের একটি অভয়াশ্রম হিসেবে সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নেয়। বাইক্কা বিলে প্রতি বছর শীত মৌসুমে প্রচুর অতিথি পাখির আগমন ঘটে। আমরা যখন গিয়েছলাম তখন অনেক অতিথি পাখি দেখেছিলাম। যদিও আমরা গিয়েছিলাম তখন শুষ্ক মৌসুম ছিল তাই বাইক্কা বিলের যে আসল সৌন্দর্য তা উপভোগ করতে পারিনি। বর্ষা মৌসুম হলো বাইক্কা বিল ভ্রমণের আদর্শ সময়। এ সময় পুরো বিলটি পানি দ্বারা পরিপূর্ণ থাকে। যদিও শুকনো মৌসুমে বাইক্কা বিলের ধারের বনাঞ্চলের সৌন্দর্য ছিল অসাধারণ। যেহেতু আমরা গিয়েছিলাম ফাল্গুন মাসে অর্থাৎ বসন্তের সময় তাই চারদিকে ঝরা পাতার পড়ে থাকার যে সৌন্দর্য ছিল অতুলনীয়। আর শুকনো ঝরা পাতার উপর দিয়ে হাঁটার সময় যে কচকচে শব্দ হতো যা ছিল ভীষণ শ্রুতিমধুর।
![]() |
| ওয়াচ টাওয়ার থেকে বাইক্কা বিল |
![]() |
| "Around The World in 80 Days" মুভির স্যুটিং এখানে হয়েছিল |
![]() |
| লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে প্রবেশের ফটক |
![]() |
| উদ্যানের ভিতর দিয়ে বহমান রেল পথ |
লাউয়াছড়ার সবুজ বনাঞ্চলকে বিদায় দিয়ে আমাদের এরপরের গন্তব্য ছিল পানশী রেস্তোরা। পানশী রেস্তোরায় আমরা দুপুরের খাবার টা সেরে নিই।
দুপুরের খাবার শেষে আমাদের পরবর্তী গন্তব্য ছিল মাধবপুর হ্রদ বা লেক।
মাধবপুর হ্রদ সিলেটের মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত একটি কৃত্রিম জলাধার। এই হ্রদটি বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব কোণে অবস্থিত সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের পাত্রখলা এলাকায়। মাধবপুর চা বাগান কর্তৃপক্ষ ১৯৬৫ সালে বাগানের মধ্যস্থিত তিনটি টিলাকে বাঁধ দিয়ে পানি জমিয়ে রেখে গড়ে তোলেন মাধবপুর হ্রদ, যা চা চাষের জন্য ব্যবহৃত পানি মজুদ রাখে। হ্রদ টি প্রায় ৫০ একর এলাকা জূড়ে বিসৃত।
চারদিকে টিলা এবং টিলার উপর চা বাগান বেষ্টিত মাধবপুর হ্রদ ছিল অসাধারণ। মাধবপুর হ্রদ আমার কাছে ইন্দোনেশিয়ার “টোবা হ্রদ” এর মত কিছুটা লেগেছিল। টিলার উপর থেকে হ্রদ টি দেখে মনে হচ্ছিল পাহাড়ের সমতলে আঁকা বাঁকা পথ দিয়ে কোন নদী বিয়ে যাচ্ছিল।
![]() |
| উঁচু টিলা থেকে হ্রদের একাংশ |
আমি আগেই বলেছিলাম আমাদের শ্রীমঙ্গল ট্রিপ টি ছিল খুব অসময়ে। তাই শ্রীমঙ্গল এর সৌন্দর্য উপভোগ করা সে সময়ের সাথে ছিল বড্ড বেমানান। তাই উঁচু টিলা গুলোর বুক চিরে সারি সারি চা গাছ এবং সমতলে বয়ে চলা হ্রদের মূল সৌন্দর্য আমরা উপভোগ করতে পারিনি। সেই সৌন্দর্য উপভোগ করতে হলে আপনাকে অবশ্যই বৃষ্টির সময় টা তেই আসতে হবে। তবুও যা দেখেছিলাম, তাতেই আমরা মুগ্ধ হয়েছিলাম।
মাধবপুর লেক কে বিদায় দিয়ে আমদের পরবর্তী যাত্রা শুরু হল লাল টিলা। আমরা শ্রীমঙ্গলের অন্যতম এবং বলা হয়ে থাকে সবচেয়ে সুন্দর এবং গোছাল চা বাগান নূরজাহান টি এস্টেট এর ভিতর দিয়ে লাল টিলায় গিয়েছিলাম। যাত্রা পথে আমরা কিছুটা সময় এই চা বাগানে কাটিয়েছিলাম।
![]() |
| নূরজাহান টি এস্টেটের কিছু স্থির চিত্র |
নূরজাহান টি এস্টেট এ কিছুটা সময় কাটানোর পর আমরা লাল টিলার উদ্দ্যেশে রওনা দিই। শ্রীমঙ্গল শহর থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে ফুলছড়া চা বাগানের পাঁচ নম্বর সেকশনে লাল টিলা অবস্থিত। সাধারণত এখানকার মাটির রং লাল হওয়ায় এ টিলার নাম ‘লাল টিলা’ হলেও কালী মন্দিরের কারণে এটি আসলে কালী টিলা নামে স্থানীয়দের কাছে বেশ পরিচিত। আমরা ফুলছড়া চা বাগানের পাকা সড়ক থেকে চা বাগানের ভিতর দিয়ে মেঠোপথ ধরে যাই লাল টিলায়। চারদিকে পাহাড়, টিলা আর চা বাগানের সবুজের সমারোহ। সেই সবুজের বুকে বিলি কেটে বাগানের মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে আঁকাবাঁকা মেঠো পথ। মাঝে পেরুতে হয়েছিল একটি ছড়া (নদী)। পানি কম থাকায় ছড়া পার হতে তেমন কোন ঝামেলা হয়নি। ছড়া পেরিয়ে আবার চা বাগানের ভিতর দিয়ে পথ চলা শুরু। দু’পাশে সারি সারি চা বাগান পেরোতে পেরোতে দেখা মিলেছিল দুর্গম পাহাড়েরও। পাহাড়ের ভিতর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে উঠতে হবে লাল টিলার চুড়ায়। টিলায় উঠার জন্য পাহাড় কেটে বানানো হয়েছে সুন্দর রাস্তা। লাল মাটির রাস্তা ধরে পাহাড়ের একটু উপরে উঠলেই চোখে পড়ে লালটিলার কালীমন্দির। পাহাড় শিখরের দুই পাশে দুটি মন্দির। একটি কালীমন্দির, অন্যটি শিবমন্দির। লাল মাটির পাহাড়ে ধবধবে সাদা শিবমন্দিরটিও বেশ আকর্ষণীয়। লাল টিলা দূর থেকে দেখতে আমার কাছে জাপানের মাউন্ট ফুজি এর মত লেগেছিল। মনে হচ্ছিল লাল মাউন্ট ফুজি।
![]() |
| লাল টিলা |
লাল টিলা থেকে ফেরার পথে আমরা গিয়েছিলাম “আদি নীলকন্ঠ টি কেবিন” এ, যেটা শ্রীমঙ্গলের মণিপুরী অধ্যুষিত রামনগরে অবস্থিত।
আমরা অনেকেই সাত রঙা চায়ের সাথে কম বেশি পরিচিত। অনেকে সেটার স্বাদ নিয়েছেন আবার অনেকে নেন নি, তবে নামটা শুনেছেন। এই সাতরঙা চায়ের আবিস্কারক হলে নীলকণ্ঠ টি কেবিনের প্রতিষ্ঠাতা রমেশ রাম গৌড়। তিনি ২০০২ সালে ১ম এক কাপে দুই রঙা চা আবিষ্কার করেন। এরপর আস্তে আস্তে তিন, চার, পাঁচ করে এক কাপে সাতটি রঙের স্তর আনতে সক্ষম হোন।
![]() |
| আদি নীলকণ্ঠ চা কেবিন |
আমাদের পুরো দিনের ভ্রমন শেষ হয়েছিল বাইক্কা বিল থেকে শুরু হয়ে নীলকন্ঠ টি কেবিনে গিয়ে। এরপর আমরা সি,এন,জি অটোরিক্সা চালকের ভাড়া মিটিয়ে দিয়ে শ্রীমঙ্গল রেল স্টেশনের কাছে একটি আবাসিক হোটেলের চার জনের একটি রুম ভাড়া করে উঠি এক রাতের জন্য। আমরা রুমে ঢুকে ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে পরি রাতে শ্রীমঙ্গল শহরটি দেখার জন্য এর সাথে রাতের খাবাটা সেরে ফেলি স্টেশনের কাছাকাছি একটি খাবার রেস্তোরা থেকে।
পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে আমরা আগের দিনের সি,এন,জি চালকের সাথে যোগাযোগ করি। যেহেতু আমাদের বিকালের ট্রেনের টিকিট কাটা ছিল সেক্ষেত্রে আমরা চেয়েছিলাম এই সময়ের মধ্যে আরো কিছু যায়গা ঘুরে দেখব। সি,এন,জি চালকের সাথে যোগাযোগ করে আমাদের দুপুর পর্যন্ত ঘুরাবার জন্য রাজি করাই।
সকালে ফ্রেশ হয়ে হোটেলের সব কিছু বুঝিয়ে দিয়ে আমরা বের হয়ে যাই। সি,এন,জি চালক কে আগে বলে রেখেছিলাম রেল স্টেশনে থাকতে, আমরাও সেখানে গিয়ে একটি খাবার হোটেল থেকে সকালের নাস্তা সেরে নিই।
নাস্তা শেষে আমাদের যাত্রা শুরু হয় ভৈরবগঞ্জের মাজদিহি তে অবস্তিত রাবার বাগান এ। এই রাবার বাগান সম্পর্কে আমাদের জানা ছিল না, আমাদের সি,এন,জি চালকের মাধ্যমেই সেখানে যাওয়া। আমরা ৪০-৫০ মিনিটের মধ্যেই রাবার বাগানে পৌঁছে যাই।
যেহেতু মাজদিহি রাবার বাগান আমাদের কাছে পুরোটা অপরিচিত ছিল তাই আগে থেকে এই ব্যাপারে কিছুই জানতাম না। রাবার বাগানে যাওয়ার পর আমরা স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে এই বাগান সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলাম কিন্তু তারাও তেমন কিছু তথ্য আমরা পাইনি। তাই এই বাগান সম্পর্কে আপনাদের তেমন তথ্য দিতে পারছি না।
রাবার বাগান সম্পর্কে বলতে গেলে প্রথমেই বলতে হবে পুরো বাগান টি ছিল চারদিকে মাঝারি আকারের উঁচু নিচু টিলা বেষ্টিত। সারি সারি রাবার গাছের ফাঁক ফোকর থেকে ক্ষণে ক্ষণে উঁকি দিচ্ছিল সোনালী রৌদ্র। আলো-ছায়ার ঢাকা রাবার বনে ছিমছাম নীরবতা মনে যেন এক প্রশান্তি নিয়ে আসছিল। যতদূর চোখ যায় সুউচ্চ বৃক্ষের সারি ছিল টিলা গুলোর চারপাশ ঘিরে। ঠিক যেন স্কেল দিয়ে মেপে মেপে একই সমান্তরালে লাগানো গাছগুলো। আমরা যেহেতু বসন্তের শুরু দিকে গিয়েছিলাম তাই গাছগুলোর পাতা ঝড়ে এক প্রকার রিক্ত অবস্থায় ছিল। তবে সি,এন,জি চালকের থেকে শুনলাম বর্ষা মৌসুমে প্রতিটি গাছ সবুজ পাতায় পরিপূর্ণ থাকে। আমরা বোধয় বড্ড অসময়ে গিয়েছিলাম, তাই কোন রাবার শ্রমিককে দেখতে পাইনি।
![]() |
| মাজদিহি রাবার বাগান |
রাবার বাগান ছিল আমাদের ভ্রমণের শেষ স্পট। এরপর সি,এন,জি চালক আমাদের স্টেশনে নিয়ে আসে। আমরা তার ভাড়া মিটিয়ে দিয়ে দুপুরের খাবার টা স্টেশনের পাশেই একটি হোটেল থেকে সেরে ফেলি।
দুপুরের খাবারের পর আমরা স্টেশনের ঠিক কাছে ফিনলে চা বাগানে হেঁটেই চলে যাই। যেহেতু আমাদের ট্রেন ছিল বিকেল ৫.৫৮ মিনিটে তাই আমরা চা বাগানে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়েছিলাম।
কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেয়ার পর আমরা ৫.২০ মিনিটে ষ্টেশনে ফিরে আসি। ট্রেন যথা সময় থেকে ১০ মিনিট দেরি তে আসল। আমরা ট্রেনে উঠে যে যার আসনে বসে পড়ি, এবং রাত ১১.৩০ টায় ঢাকায় পৌঁছাই।
![]() |
| আমাদের শ্রীমঙ্গল ভ্রমণের আরো কিছু স্থির চিত্র |
















কোন মন্তব্য নেই